শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০২ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেক্স: ঝালকাঠি পাসপোর্ট অফিস নতুন ভবনে স্থানান্তর করা হয়েছে। শহরের কৃষ্ণকাঠি এলাকার বিশ্বরোড সংলগ্ন পুরাতন কার্যালয় থেকে একশফুট দূরত্বে দক্ষিণে মাঝে দুটি প্লট রেখেই দেখা মিলবে অনন্য শৈলিতে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন তিনতলা বিশিষ্ট পাসপোর্ট ভবন।
রোববার (২৭ আগস্ট) সকাল থেকে অনানুষ্ঠানিকভাবে নতুন ভবনে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
ঝালকাঠি পোসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম খান জানান, ঝালকাঠি পাসপোর্ট অফিস ২০১৩ সালে মেশিন রিডেবল কার্যক্রমের মাধমে কার্যক্রম শুরু হয়। এরপূর্বে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের একটি কক্ষে এনালগ পাসপোর্টের কার্যক্রম চলে। ২০১৩ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দীর্ঘদিন শহরের কৃষ্ণকাঠি এলাকায় ব্যক্তিমালিকানা ভবনে ভাড়ায় এ অফিস চলতো।
ঝালকাঠি গণপূর্ত অধিদপ্তর নতুন ভবন তৈরির জন্য অনুমোদন ও বরাদ্দ দিলে তিনতলা বিশিষ্ট আধুনিক পাসপোর্ট ভবন নির্মাণ করা হয়। গত ৯ আগস্ট বরিশালের বিভাগীয় পাসপোর্ট অধিদপ্তরের উপপরিচালকের নেতত্বে তিন সদস্যের কাছে ভবনটি হাস্তান্তর করে গণপূর্ত বিভাগ। বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) থেকে মালামাল স্থানান্তর করা শুরু হয়। টানা তিনদিন স্থানান্তর কাজ সেরে রোববার সকালে নতুন ভবনে কার্যক্রম শুরু করেছি। তিনি আরো জানান, শহরের প্রবেশদ্বার কৃষ্ণকাঠি পেট্রোলপাম্প মোড় থেকে উত্তর দিকে আধা কিলোমিটার আগালেই দেখা মিলবে বিশ্বরোড সংলগ্ন আনিন্দ সুন্দর ও অনন্য নির্মাণ শৈলিতে নির্মিত তিনতলা পাসপোর্ট ভবন।
প্রবেশদ্বারের সেন্ট্রিগার্ড অতিক্রম করে প্রবেশ করলেই নীচতলায় ১০১ নম্বর কক্ষ পাসপোর্টের আবেদন ফরম জমাদান, ১০৩ নম্বর কক্ষে পুরুষের জন্য ও ১০৪ নম্বর কক্ষে নারী, শিশু ও রোগাগ্রস্ত ব্যক্তিদের ছবি তোলা, আঙ্গুল ও চোখের ছাপ নেয়া হয়। ১০২ নম্বর কক্ষে সম্পন্ন হওয়া পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়। ভবনের দ্বিতীয় তলায় সহকারী পরিচালকের কার্যালয় এবং তৃতীয় তলায় কর্মকর্তার বাসভবন। নতুন ভবনে নতুন পরিবেশে সেবাগ্রহিতা ও সেবাদাতা সবাই খুশি মনে কাজ করছেন বলেও জানান তিনি।